এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
বহু বছর পর বেশ উৎসাহ আর উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ হোসিয়ারী সমিতির (২০২৫-২০২৭) দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে ১ হাজার ১’শ ৫৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে হোসিয়ারী শিল্পের নতুন দিনের সূচনা করবেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ৩ ফেব্রæয়ারী প্রতিটি ভোটার ১৮টি ভোট দেয়ার মাধ্যমে তাদের নতুন নেতৃত্ব গঠন করবেন।
চলতি বছরের ৫ আগষ্ট বৈষ্যম বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর দীর্ঘ প্রতিক্ষা শেষে সর্বক্ষেত্রে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হতে শুরু করেছে। তবে বাংলাদেশ হোসিয়ারী সমিতির নির্বাচনে শুরুতে সিলেকশন হাওয়া বইলেও, সেখানে ভোটাধিকার প্রয়োগের দাবি নিয়ে মাত্র ১৪ জন প্রার্থীকে নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে অংশগ্রহন করে প্যানেল প্রধান শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন। এতে করে অনেকের আশায় ছাই পড়লেও ব্যবসায়ী সংগঠনের ভোটাররা বেশ খুশি। কারন এবার বহু কাঙ্খিত ভোটাধিকার তারা প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের ব্যবসায়িক সংগঠন বাংলাদেশ হোসিয়ারী সমিতিকে নতুন আঙ্গিকে সাজাতে পারবে।
এবারের নির্বাচনে নতুন আর পুরাতনের মিশ্রনে শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপনের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশগ্রহন করা প্রার্থীদের বেশ আনন্দের সাথে গ্রহন করেছেন সাধারণ ভোটাররা। সর্বক্ষেত্রেই যখন নতুনদের আর্বিভাব হচ্ছে এবং তা সহজেই গ্রহন করে নিচ্ছেন আমজনতা। ঠিক তখনই বাংলাদেশ হোসিয়ারী সমিতির নির্বাচনে নতুন-পুরাতনের মিশ্রনে সাজানো শাহ ফতেহ রেজা রিপনের প্যানেলকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভোটাররা। তার প্যানেলে অধিকাংশ প্রার্থী নতুন হলেও সাংগঠনিক দক্ষতা আর ব্যবসায়িক মনোভাবকে কাজে লাগিয়ে স্বল্প সময়ে ভোটারদের নজর কাড়তে সফল হয়েছেন। শুধু তাই নয় প্রচার প্রচারনা আর ভোটারদের দ্বারে পৌছাতে পেড়েছে খুব সহজেই।
প্যানেল প্রধান শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন যার ব্যক্তিগত পরিচয়ের পাশাপাশি পারিবারিক পরিচয়ও বেশ প্রশংসার দাবিদার। এম.কম পাশ করা শাহ ফতেহ রেজা রিপনের বাবা মরহুম ডাঃ এম এ ওহাব যিনি জীবদ্দশায় নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জনের পাশাপাশি খানপুর হাসপাতালের সুপারেন্টটেন্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে। সেই সাথে বিএমএ এর নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। মা মরহুম রেজিয়া খাতুন জীবদ্দশায় যিনি ২৮ বছর কলরব কিন্ডারগার্টেন স্কুলে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেছেন। সেই সাথে বর্তমান তার বড় বোন ডাঃ জাকিয়া পারভীন লিপি যিনি নারায়ণগঞ্জে গাইনী বিশেষজ্ঞ হিসেবে জেলাবাসীর সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন।
সেই সাথে তার প্যানেলকে নববধুর মত সাজাঁতে পাশে রয়েছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির নেতা যিনি সততা আর নিষ্ঠার সাথে রাজনীতি করার পাশাপাশি ব্যবসা করে বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছেন আওলাদ হোসেন।তার সাথেই রয়েছে নারায়ণগঞ্জের উদীয়মান রাজনীতিবিদ এবং অসহায়দের বন্ধু দিদার খন্দকার। যার কাছে গিয়ে কেউ খালি হাতে ফিরেননি কখনোই। দলমত নির্বিশেষে যিনি সবার প্রিয়পাত্র দিদার খন্দকার। এভাবেই নতুন আর পুরানতের মিশ্রনে সাজানো শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপনের প্যানেল। যেখানে প্রতিটি প্রার্থী কোন না কোন ভাবেই সকলের কাছে প্রশংসিত।
এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল থেকে সর্বমোট ৩২ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন। এর মধ্যে শাহ ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন ১১নং ব্যালট নিয়ে তার প্যানেল সাজিয়েছেন। যেখানে সাধারণ গ্রæপে ব্যালট নং ১ নিয়ে আওলাদ হোসেন, ১৪নং ব্যালট নিয়ে বাবুল চন্দ্র দাস, ১৯নং ব্যালট নিয়ে লুৎফর রহমান ফকির, ২১নং ব্যালট নিয়ে সুশান্ত পাল চৌধুরী, ৫নং ব্যালট নিয়ে মোঃ আবুল বাশার (বাসেত), ৯নং ব্যালট নিয়ে মোঃ নাজমুল হক, ৭নং ব্যালট নিয়ে দিদার খন্দকার।
এছাড়াও এসোসিয়েট গ্রæপে মোঃ মাসুদ রানা ব্যালট নং ১২, নারায়ণ চন্দ্র মজুমদার ব্যালট নং ৭, মোঃ মোক্তার হোসেন ব্যালট নং ১১, মোঃ মাসুম মোল্লা ব্যালট নং ১৩, মোঃ ফারুক হোসেন ব্যালট নং ৮, ইবনে মোঃ আল কাওসার ব্যালট নং ৪ নিয়ে ব্যবসায়িদের ভাগ্য পরিবর্তনে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন।
অপরদিকে, বদিউজ্জামান বদু প্যানেলে এবারে নির্বাচনে সাধারণ গ্রæপের আরো অংশগ্রহন করেছেন মোঃ দুলাল মল্লিক, আব্দুস সবুর খান সেন্টু, মনির হোসেন খান, মোঃ আতাউর রহমান, শাহীন হোসেন, মনির হোসেন, আব্দুল হাই, মিজানুর রহমান, বৈদ্যনাথ পোদ্দার, মাসুদুর রহমান, পারভেজ মল্লিক।
এছাড়াও এসোসিয়েট গ্রæপে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেছেন সাঈদ আহম্মেদ স্বপন, নাছির শেখ, নাছিম আহম্মেদ, অনিল সাহা, বিল্লাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম হিরু শেখ।
সর্বোপরি কারা হচ্ছেন বাংলাদেশ হোসিয়ারী সমিতির আগামীর কর্ণধার তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন।