এনগঞ্জনিউজঃ
সারাদেশে নারী ধর্ষণ ও নির্যাতনের সকল ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার এবং বিচার, গণপরিবহনসহ সর্বত্র নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের অপচেষ্টাসহ নারী বিদ্বেষী সকল কর্মকাণ্ড বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে তারা। পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি মিমি পূঁজা দাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আক্তার, মহিলা ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুন্নাহ, এবং সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসিমা সরদারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, “বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে নারীদের ব্যাপক অংশগ্রহণ ছিল। আন্দোলন যখন স্তিমিত হয়ে পড়েছিল, তখন নারীরা রাজপথে বের হয়ে অচলায়তন ভেঙে দেন। কিন্তু অভ্যুত্থানের পর সারা দেশে নারী-শিশু ধর্ষণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা বেড়ে গেছে। সব জায়গায় নারীরা নিপীড়িত হচ্ছেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “নারীরা একদিকে অর্থনৈতিক শোষণ, অন্যদিকে পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার শিকার। এসব ঘটনায় দায়ী অন্তর্বতীকালীন সরকার। আমরা দাবি জানাচ্ছি, নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হোক। একইসঙ্গে নারী-পুরুষের সমানাধিকার ও নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”
এছাড়াও, নেতৃবৃন্দ বেগম রোকেয়ার নামে প্রতিষ্ঠিত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের চেষ্টা এবং নারী বিদ্বেষী কর্মকাণ্ডের কঠোর বিরোধিতা করেন। তারা বলেন, “বেগম রোকেয়ার অবদান নারীদের মুক্তির আন্দোলনে ছিল অপরিসীম, অথচ এখন সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী তার নাম পরিবর্তনের পাঁয়তারা করছে। এই অপচেষ্টা বন্ধ করতে হবে।”
মানববন্ধন শেষে, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্মারকলিপিতে নারীর নিরাপত্তা ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।