সাব্বির হোসেন
গত ২৮ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামের প্রচেষ্টায় নগরীর গুরুত্বপূর্ন মীর জুমলা সড়কে শুরু হয়েছে যান চলাচল। দীর্ঘদিন ধরেই এই সড়কের দুই পাশে দোকান বসায় এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে পারতো না কোন যানবাহন।এই সড়কটি মূলত তৈরি করা হয়েছিলো দিগু বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা যাতায়াত সুবিধা ও বাজারের ব্যবসায়ীদের মালামাল বহন করার গাড়ি যাতায়াতের জন্য।
তৎকালীন সময় এই সড়ক বাজারের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সুবিধার্থে করা হলেও এক সময় এই সড়ক চলে যায় ক্ষমতাশীলদের দখলে। সড়কের দুই পাশ দখল নিয়ে দোকানের পরসা সাজিয়ে দোকান ভাড়া দিয়ে দেদারছে চলছে অবৈধ দোকান বাণিজ্য।
কিছুদিন পর,পর সিটি কর্পোরেশন ও জেলা প্রশাসক থেকে উচ্ছেন অভিযান চালালে কিছু সময়ের জন্য সড়কটি দখল মুক্ত হলেও কোন এক অদৃশ্য হাতের ইশারায় পুনরায় দোকানের পরসা সাজিয়ে বসে আবার দোকানিররা। ফলে আগের রূপে ফিরে আসে এই মীর জুমলা সড়কটি।
নারায়ণগঞ্জের নতুন জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলামের আন্তরিক চেষ্টায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারী মীর জুমলায় সড়ক দখল করে বসা অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করে জেলা প্রশাসন ও সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা। পরের দিন ২৮ ফেব্রুয়ারী সকাল থেকে যান চলাচল শুরু করে মীর জুমলায়। মীর জুমলার এমন চিত্র দেখে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে নগরবাসী।
কিন্তু একদিন না যেতেই ২ মার্চ থেকে মীর জুমলায় আবারও দোকানের পরসা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা। ফলে ফের তৈরি হয়েছে যানজটের। সড়ক দিয়ে যান চলাচল করছে ঠিকই কিন্তু দোকান বসার কারনে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
এই সড়ক দিয়ে চলাচলরত এক বাস চালক জানায়, একদিনের জন্য এমন অভিযান না করলেও হতো এখন আমাদের আরও বেশি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। উচ্ছেদ অভিযান করলে একেবারে করা দরকার লোক দেখান এমন অভিযান করার দরকার নেই।
এই বিষয়ে জানতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞাকে মুঠোফোন করলে তিনি বলেন,আমি আপনার তথ্য অনুযায়ী পুনরায় অভিযান করার ব্যবস্থা করছি।
এইদিকে নগরীর সচেতন মহল বলছেন নারায়ণগঞ্জ নগরীতে সড়ক দখল অবৈধ দোকান এক প্রকার হাট তৈরি হয়েছে। এক বিশাল চক্র এর পেছন থেকে কলকাঠি নাড়ছে। অতি দ্রুত প্রশানের উচিত এদের সনাক্ত করে নগরীর সড়ক পুনরায় দখল মুক্ত করে যানজট নিরসন করেন নগরবাসীকে যানজটের ভোগান্তিতে থেকে মুক্ত করা।