সাব্বির হোসেন
চলছে মাহেরমজান মাস সামনেই আসছে ঈদ আর এই ঈদকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীরা নিচ্ছে মাদক বেচা কেনার ব্যাপক প্রস্তুতি। রমজান মাস থেকেই নগরী জুরে ব্যাপক হারে চলছে মাদকের বেচা,কেনার ধুম। নারায়ণগঞ্জের অলিতে,গলিতে এখন হাত বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা, গাঁজা,ফেন্সিডিল,হেরোইনসহ নানা মাদক দ্রব্য।
একাধিক সূত্র অনুযায়ী জানাযায়, গত ৫ আগষ্ট হাসিনা সরকারে পতনের পরে দেশে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার অবনতি হলে সারাদশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও মাদক ব্যবসায়ীরা কোন ভয়ভীতি ছাড়াই প্রকাশ্যেই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এই মাদক বাণিজ্য। প্রশাসনিক ভাবে পূর্বের মতো মাদক ব্যবসায়ীদের উপর কোন অভিযান নেই বলে তাদের এমন অবনতির দাবি অনেকের।
খোঁজ নিয়ে জানাযায়,নগরীতে দিনে রাতেই প্রকাশ্যেই চলে এই মাদকের বাণিজ্য। নগরীর মাসদাইর,চানমারি,দেওভোগ,তল্লা,২নং রেলগেট থান কাপড় মার্কেট,জিমখানা,জল্লার পাড়া,আমলাপাড়া,তাতিপাড়া,কাঠেরপুল,সস্তাপুর,খানপুর, বন্দরে মদনগঞ্জ,শান্তিনগর, মদনগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, মাহমুদনগর, দড়ি সোনাকান্দা, সোনাকান্দা নোয়াদ্দা, সোনাকান্দা কবরস্থান রোড, বন্দর রুপালী, সালেহনগর, শাহীমসজিদ, হাফেজীবাগ, নূরবাগ, চিতাশাল, স্বল্পের চক, একরামপুর সুইপার কলোনি, ইস্পাহানী, কাইতাখালী, দেউলী চৌরাপাড়া, লক্ষনখোলা, রামনগর, সোনাচড়া, মুরাদপুর, ফুলহর, লাঙ্গলবন্ধ, চিড়াইপাড়া, পুরান বন্দর চৌধুরীবাড়ীসহ বন্দর উপজেলার প্রায় শতাধিক মাদক স্পটে জমে উঠেছে মাদকের হাট।
উল্লেখিত নগরীর এইসকল স্থানগুলোতে সকাল হতে দীর্ঘ রাত অবদি চলে মাদক কেনা বেচার কার্যক্রম। ফলে এই ভয়াবহ মাদকের ছোবলের শিকার হচ্ছে যুবসমাজ। যার কারণে নগরীতে দিনে,দিনে চুরি,ছিনতাই,ডাকাতি,ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে হরহামেশাই।
নগরীর তল্লা এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা জানায়,বিগত সময় আওয়ামী শাসন আমলে আমাদের এলাকার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় পুরো এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করা হতো মাদক ব্যবসা। হাসিনার সরকার যাওয়ার অরে ভেবেছিলাম এইবার মনে হয় এই মাদকের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এলাকায় মাদক মুক্ত হবে কিন্তু তা না হয়ে এখন আরও প্রকোপ আকার ধারন করেছে এলাকায় মাদকের। বর্তমানে পুলিশের কোন তৎপরতা না থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা দিনে দুপুরে প্রকাশ্যেই এলাকায় মাদক বিক্রি করেছ এর প্রভাব পরছে আমাদের সন্তানদের উপর।
অনুসন্ধান বলছে, গত ৫ আগষ্টের পর পট পতিবর্তনের পর,পরই নারায়ণগঞ্জের মাদক ব্যবসায়ীরা মাথা চারা দিয়ে উঠে । প্রশাসনিক ব্যবস্থার অবনতির কারণে এক প্রকার প্রকাশ্যেই শুরু করে মাদক বেচাকেনা। যার ফলে অনেক ক্ষুদ্র মাদক ব্যবসায়ী এই অল্প কিছুদিনে আঙুল ফুলে কথা গাছ বনে গেছে। যার ফলে বর্তমানে টাকার বিনিময়ে প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এই অবৈধ মাদকের কার্যক্রম।
এইদিকে নগরীর সচেতন মহলের দাবি মাদকের এই ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পেতে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা জরুরী। নয়তবা দিনকে দিন এর প্রভাব বেড়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে।
এই বিষয়ে কথা বলতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যূষ কুমার মজুমদারকে মুঠোফোন করলে তিনি বলেন,আমরা প্রতিনিয়ত মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছি । ঈদকে সামনে রেখে পুরো জেলায় আমরা আরও কোঠর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি। তবে আপনার এই তথ্য অনুযায়ী আমরা আরও কোঠর অভিযান পরিচালনা করবো মাদকের বিরুদ্ধে।