নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে একের পর এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কোনঠাসা করার চেষ্টা করার অভিযোগ শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে। আইভী’র বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ, নগরীর ময়লা অপসারনে বাধা, সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের উপর হামলা, সর্বশেষ পূনর্বাসনের নামে হকারদের মেয়রের বিরুদ্ধে উসকে দেয়া। এসব ঘটনার সাথে শামীম ওসমানের প্রত্যক্ষ ভাবে ইন্ধন ছিল বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। তবে শেষ পর্যন্ত শামীম ওসমানের সব চেষ্টাই ব্যার্থ হয়েছে মেয়র আইভীর আপোষহীন নীতি ও দৃঢ়তার কাছে। সর্বশেষ চ্যালেঞ্জ নিয়ে হকারদের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে বসার নির্দেশ দিয়ে হাকারদের রাজপথে নামালেন এবং হত্যার চেষ্টায় হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন মেয়র আইভী । তার সাথে আসা নিরস্ত্র নগরবাসি, সাংবাদিক ও সমর্থকদের রক্ত ঝড়িয়ে এ অপচেষ্টা ব্যার্থ করে দেয়। আইভীর সমর্থকদের মানবঢালের কাছে এ হামলা প্রতিহত হয় ।
পরে শামীম ওসমান সাংবাদিক সম্মেলন ঢেকে বলেন আইভী’র সাথে সংঘর্ষ হয়েছে হকারদের সাথে। এ বলে তিনি দায় এড়ানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ভিডিও ফুটেজে দেখা যায় শামীম ওসমানের অত্যন্ত বিশ^স্ত ও অনুগত অনেকেই এ ঘটনায় হামলা চালিয়েছিল।
কয়েকজন হকারের সাথে কথা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এ প্রতিবেদককে জানান, আমাদেরকে বিভিন্ন সময় স্বার্থ উদ্ধারে ব্যাবহার করা হয়। সেদিনকার ঘটনায় হকারদের জড়ানো ঠিক হয়নি। এতে করে আরো বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।
এ বিষয়ে নগরীর দেওভোগ এলাকার বসবাসকারি হাসেম মিয়া অবিযোগ করেন, রাজউককে ঢেকে এনে সিটি কর্পোরেশনের জমি ও স্থাপনা দখলের দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পারভেজ নিখোঁজের ঘটনায় মেয়র আইভীর ছোট ভাই ভাগিনা ও সহকর্মীদের মিথ্য অভিযোগ জড়ানো হয়। যা তদন্তে প্রমানিত হয়নি বলে তাদের অব্যাহতি দেয়া হয়।
এ দিকে জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল কাদির জানিয়েছেন, নিজের স্বার্থ হাসির করার জন্যই শামীম ওসমান হকারদের ঘাড়ে বন্ধুক রেখে গুলি চালিয়েছে। সে নির্দেশ দিলেন ১৬ জানুয়ারী থেকে বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসবে বাধা দিলে তার যুবলীগ ছাত্রলীগ সেচ্ছাসেবকলীগ প্রতিহত করবে। এখন কোথায় শামীম ওসমান। আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কড়া নির্দেশে শামীম ওসমান হকারদের ছেড়ে নিজেকে ঘুটিয়ে নিয়েছেন। তার টার্গেট ছিল আইভী, হকারদের বসানো ইচ্ছে না। ১৬ তারিখের অতর্কিত হামলায় মৃত্যু’র ঝুকি ছিল। আল্লাহর রহমতে মেয়র আইভী তার সমর্থক নগরবাসি রক্ষা পেয়েছে। এ হকারদের কয়েকজন ফুটপাতে ব্যাবসার অন্তরালে মাদক ব্যাবসা করতো।
এদিকে নতুন প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি একটু ভিন্ন, এমন কয়েকজন ছাত্রের সাথে কথা হয়, তারা জানিয়েছেন, হকারমুক্ত ফুটপাত থাকার পক্ষে আছে মেয়র আইভী। আসলেই এখন স্বাচ্ছন্ধে ফুটপাত দিয়ে নগরবাসি চলাফেরা করতে পারছে। ছোট বেলায় দেখতাম নগরীর জলাবদ্ধতা সরু সড়ক। এখন মেয়র আইভী নগর থেকে জলাবদ্ধতা দূর করেছেন। বিভিন্ন সড়ক প্রশস্ত হয়েছে। ইন্টারনেটে প্রবেশ করলে সামাজিক মাধ্যমে অনেকের সাথেই যোগাযোগ হলে তারা মন্তব্য করেন, আমাদের শহরে মেয়র আইভীর মতো জনপ্রতিনিধি পাওয়ায় আমরা ভাগ্যবান। কারন আইভী দ্বক্ষ ও সৎ।
নগরীর নন্দিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ঢাকা কলেজের বিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আরমান মাহাবুব সাদাত জানিয়েছেন, আইভী নারায়ণগঞ্জের উন্নয়নের আইডল। যা সাড়া দেসেই এখন মেয়র আইভীকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে উদাহরন দেয়া হচ্ছে। এমনকি আওয়ামীলীগের নিজ দল থেকেও আগামী নির্বাচনে মেয়র আইভী’র মত প্রর্থী বছাই করছে দলীয় নীতি নির্ধারনীরা এটা পত্রপত্রিকায় রিপোর্ট হয়েছে। আইভীর কোন সন্ত্রাসী বাহিনী নেই, তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে লাগিয়েও ব্যার্থ হয়েছে শামীম ওসমান। শামীম ওসমান জাতীয় সংসদে দাড়িয়েও মেয়র আইভী দূনীতি নিয়ে কথা বলেছিলেন। প্রথমে মন্ত্রনালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটি ও পরে দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে কোন দূর্নীতির অভিযোগের সত্যতা পায়নি। গত বছর অক্টোবরে এ ব্যাপারে দুদক পত্র জারি করেছিল বলে জানতে পেরেছি। আইভীর একের পর এক সফলতা ও জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল তার বিরুদ্ধে বার বার ষড়যন্ত্র করে ব্যার্থ হচ্ছে।
নগরীর ময়লা আবর্জনা নিয়েও নোংরামী করে আইভীকে ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে,এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে মেয়র আইভী দেশের বাইরে গেলে এ সুযোকে সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মীদের লিংক রোড়ে ময়লা ফেলতে বাধা দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে ৮/১০ জন পরিচ্ছন্ন কর্মীকে আহত করে। সিটি কর্পোরেশন প্রতিবাদের নগরীর ময়লা অপসারন বন্ধ রাখে। সে সময়েও কোন জনপ্রতিনিধিকে সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে দেখা যায়নি। বরং শামীম ওসমানের সমর্থক ও তার লোকজন দিয়েই লিংক রোড়ে ময়লা ফেলা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল ময়লার দূর্গন্ধে নগরবাশি মেয়র আইভী’র উপর ক্ষুদ্ধ হয়ে আন্দোলনে নামবেন। কিন্ত সচেতন নগরবাসি পুরো ঘটনাটাকেই পর্যবেক্ষন করে মেয়র আইভীর পাশে দাড়িয়েছে।
এদিকে স্থানীয় বিশ্লেষকরা মনে করছেন ডা. আইভী কাজের প্রতি আন্তরিকতা ও দৃঢ়মনোভাবের কারনে এতো সফলতা পেয়েছেন এবং বার বারই তিনি প্রতিকূল পরিস্থিতি উৎড়ে গেছেন। ব্যার্থ হয়েছে তার প্রতিপক্ষ। ###
ঝুঁকিপূর্ণ বন্দর,অপরিকল্পিত শিল্প প্রতিষ্ঠান, মিল কারখানায় দূষণ
এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ : নারায়নগঞ্জ জেলার সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বন্দর উপজেলা এলাকা। প্রায় ৫৬ কিলোমিটার এলাকার উপজেলায় মানুষ বসবাস করে প্রায় ৮/১০...