সন্ত্রাসীদের শাস্তির ব্যবস্থা করাই হলো আমাদের প্রথম দায়িত্ব : গিয়াসউদ্দিন
এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতন হওয়ার কারণে আমরা আজ সকলেই খুশি ও আনন্দিত। কিন্তু একদল মোটেও খুশি না, আজ তারা মনে কষ্ট নিয়ে আছেন। তারা শেখ হাসিনা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। তারা মানুষের অধিকার হরণ করেছে, তারা আইনের অনুশাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা আজকে অপরাধের কারণে পলাতক জীবন যাপন করছে। অপরাধের কারণে অনুশোচনা থেকে, তাদের ভীতি থেকে তারা আজকে পলাতক জীবন যাপন করছেন।
পালিয়ে গিয়ে আত্মগোপনের পর তারা এখন বিভিন্ন দেশে লুকিয়ে থেকে ষড়যন্ত্র করছে। তারা লুটপাট করে যে অফুরন্ত সম্পদ উপার্জন করেছে। সেই সম্পদ ব্যবহার করে তারা আজকে ষড়যন্ত্র করছে। দেশে কিভাবে অরাজকতার সৃষ্টি করা যায়, উন্নয়নের ধারাকে রোধ করা যায় সেই চেষ্টায় তারা মগ্ন। আমরা এটা হতে দিব না।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সিদ্ধিরগঞ্জে রেবতী মোহন পাইলট স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে৫নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে সন্ত্রাস,মাদক, চাঁদাবাজ, লুটপাট, নৈরাজ্য ও অপকর্মের প্রতিবাদে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।
এসময় তিনি আরো বলেন, সে বলতো দেশটা আমার বাবার দেশ, সে বলতো এটা আমার দেশ। অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে যারা আন্দোলন করেছিল, তাদেরকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সরকার ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে দাম্ভিকতার সাথে সে বলেছে এ দেশ তাদের, আন্দোলন সংগ্রামকারীদের যেকোনো মূল্যের দমন করে ছাড়বে। তারা আজকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। কিন্তু তারা আজকে ষড়যন্ত্র করছে। স্বৈরাচার বিতাড়িত করে আমাদের মধ্যে যে নতুন স্বপ্ন সৃষ্টি হয়েছে, সেই স্বপ্নকে ধ্বংস করার জন্য তারা আজকে ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, এই সন্ত্রাসী ফ্যাসিস্ট সরকারকে আমরা দীর্ঘ আন্দোলনের মাধ্যমে বিতাড়িত করেছি। আমরা অনেক রক্ত ঝরিয়েছি। দীর্ঘ ১৬ বছর আগে হাসিনা সরকার এদেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। দেশের সম্পদ ও অর্থ কে লুটপাট করে ব্যাংক খালি করে দিয়েছিল। অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছিল। আমাদের কাজ এখন তাদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো। এই সন্ত্রাসীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হলো আমাদের প্রথম দায়িত্ব। যদি আমরা তা না করি, এরা আবার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে দেশের মানুষের উপর চেপে বসবে।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রতি জোড় দাবি জানিয়ে গিয়াসউদ্দিন বলেন, যারা নির্বিচারে মানুষ খুন করেছে, মানবতাবিরোধী কার্যক্রম করেছে, অবিলম্বে বিচারের মাধ্যমে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশে পালিয়ে যান কিংবা গর্তের লুকিয়ে থাকুন, কিচ্ছু যায় আসেনা। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। যাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে বিচার কার্য শুরু করতে হবে। দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী শাস্তির রায় হবে।
সেই রায়ের কারণে কেউ বিদেশে পালিয়ে থাকুক কিংবা এই দেশে থাকুক, তাদেরকে গ্রেপ্তারের প্রয়োাজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যায়কারী অত্যাচার করে যদি শাস্তি না পায়, আগামী দিনে আরো নতুন অন্যায়কারী তৈরি হবে। অন্যায় করতে সাহস পাবে। সেটা হতে দেওয়া যাবে না।
সিদ্ধিরগঞ্জের ৫নং ওর্য়াড বিএনপির সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানের পরিচালণায় উক্ত জনসভায় বিশেষ অতিথিদের হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম,এ,হালিম জুয়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল, ডি,এইচ,বাবুল, এস,এম,আসলাম, জি,এম,সাদরিল, সেলিম মাহমুদ, রওশন আলী, এ,কে,এম সামছুল হক, মাসুদুজ্জামান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, যুগ্ম-সম্পাদক আবুল হোসেন, কামরুল হাসান শরীফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আকবর হোসেন, ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মোঃ মোস্তফা, ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. দিদার আলম, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আনিস শিকদার, কারুজ্জামান, নাজিম উদ্দিন মেম্বার, সাব্বির, সাজ্জাদ, সেলিম ও ইকবাল প্রমূখ।