এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪:
গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পর,পরই কর্মবিরতিতে চলে যায় পুলিশবাহিনী। পুলিশের কর্মবিরতির কারনে পুরো দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জেও আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙ্গেপরে। আইনশৃঙ্খলার অবনতির এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নগরীর মাসদাইর এলাকায় প্রকাশ্যে বসেছে মাদকের হাট। পুরনো ব্যবাসায়ীরা নতুন করে রমরমা মাদক বাণিজ্যে মেতেছে মাসাইর এলাকায়।
মাসদাইর এলাকার শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী পারুল ওরফে হিরোইন পারুলির মাদক বাণিজ্য আবারও হয়ে উঠেছের রমরমা। মাসদাইর গুদারাঘাট এলাকায় দির্ঘদিন যাবৎ বাসাভাড়া নিয়ে তার পুরো পরিবার নিয়ে সেখানে থাকেন পারুল। তার ভাড়া বাসার গলির মাথাই তার মাদকের স্পট। তার বিশ্বত একজন ছেলে দ্বারা প্রতিদিন সকাল থেকে রাত অবদি চলে তার মাদক ব্যবসা। ফতুল্লা থানায় পারুলির নামে রয়েছে একাধিক মাদক মামলা। প্রতিবারই গ্রেফতারের পর কোন এক অদৃশ্য হাতের ইশারায় প্রতিবার থানায় যাওয়ার আগেই দেনদরবার করে ছাড়া পেয়ে যান এই পারুল ওরফে হিরোইন পারুলি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে টাকা পেলেইকি বন্ধ হয়ে যায় প্রশাসনের মুখ?
পারুলের এই মাদক সম্রাজ্যে প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করে তার বড় বোন রওশন আরা বেগম। এই রওশন আরা বহুবার প্রশাসনের কাছে গ্রেফতার হলেও ফের জামিনে বের হয়ে পুনরায় চালিয়ে যায় তার কার্যক্রম। গত ৯ অক্টোবর সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিশেষ অভিযানে তার নিজ বাড়ি থেকে হেরোইনসহ গ্রেফতার হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ১৫ দিনের সাজা দেওয়া হয় রওশনা আরাকে। বর্তমানে তিনি ১৫ দিনের সাজা শেষ করে এসে পুনরায় তার ছোট বোন পারুল ওরফে হেরোইন পারুলির সাথে রমরমা মাদক বাণিজ্য পরিচালনা করছে।
নাম পরিচয় দিতে অনিচ্ছুক এক এলাকাবাসী জানায় পারুলের এই ধনরনের কার্যক্রমে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছি আমরা এলাকাবাসী। আমাদের বাচ্চারান স্কুল,কলেজে যাওয়ার সময় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির এমন চিত্র দেখে তারা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এইভাবে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রির পরেও প্রশাসনের কোন হস্তক্ষেপ না থাকায় আমারা রিরিমতো হতাশ হয়ে পরেছি। আমরা খুব দ্রুত পারুলকে গ্রেপ্তার করে এলাকায় এই ধরনের মাদক বাণিজ্য বন্ধের দাবি জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।
এই বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম জানায়, আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের অভিযান অব্যহত রেখেছি। আশা করছি খুব দ্রুত এই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করবো।