এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪:
নগরীর দিগুবাবুর বাজার এলাকায়স্থ মীর জুমলা সড়কটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিনিত হয়েছে। সড়কজুড়ে হরেক রকম মালামালের পরসা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা ফলে সড়কের অর্ধেকের বেশি অংশ জায়গা এইসব দোকানে দখল হয়ে গেছে। এক পাশে ময়লার ভাগাড় অন্য পাশে এমন অবৈধ দোকানের সারির কারণে এই সড়কে এখন চলাচল করা মুশকিল হয়ে পরেছে।
এই সড়কে প্রবেশ করলেই দুর্গন্ধের কারণে নাক চেপে ময়লা-আবর্জনা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন থেকে মাঝেমধ্যে অভিযান করা হলে কিছু সময়ের জন্য সড়ক থেকে তাদের দোকান সরিয়ে নিলেও পরক্ষণেই আবার আগের অবস্থায় চলে আসে তারা।
খোঁজনিয়ে জানাযায়,বহুবছর আগে নগরীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের বাজার দিগুবাবুর বাজারে ব্যবসায়ীদের মালামাল লোড-আনলোড করার সুবিধার্থে বাজারের ভেতর দিয়েই একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয়। যার নাম দেওয়া হয়েছে মীর জুমলা সড়ক। একসময় মুড়ির টিন খ্যাত পুরাতন বাসগুলো এই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতো। কিন্তু বর্তমানে এই সড়কটিকে ব্যবসায়ীরা তাদের মালামাল লোড-আনলোডে ব্যবহার করতে পারছেন না। সেইসঙ্গে শহরবাসীরও সুবিধার পরিবর্তে দুর্ভোগের কারণ হিসেবে আবির্ভাব হয়েছে সড়কটি।
এই সড়কে মধ্যে গড়ে উঠেছে সারিবদ্ধভাবে ছোট ছোট চৌকিতে কাঁচা সবজি, মাছ, মুরগি, আলু, পেঁয়াজ ও ফলসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে থাকেন বিক্রেতারা। তারা তাদের ময়লা-আবর্জনা রাস্তাতেই ফেলেন। বৃষ্টির সময়ে সৃষ্ট কাদা, মাছের পানি, ফেলে দেওয়া পচা সবজি ও বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে জমে থাকা আবর্জনার দুর্গন্ধে যেন বাজারের ভেতরে প্রবেশ করাই অসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়।
নগরীর মাসদাইর এলাকার বাসিন্দা এলাকার শান্ত রহমান বলেন, এই সড়ক দিয়ে এখন বাজারে প্রবেশ করাই কষ্টসাধ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাজার নিয়ে রিকশা দিয়ে যাতায়াত করা তো দূরের কথা হেঁটে যাওয়াটাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজারটির যদি এমন অপরিষ্কার-অপরিছন্ন অবস্থা থাকে তাহলে সিটি করপোরেশনের কর্মীরা কী কাজ করে ? এইবার আপনারাই ভেবে দেখেন।
জামতলা এলাকার আকলিমা আক্তার বলেন, এখানে বাজার করতে আসলে মানুষের ধাক্কা খেতে হয়। সড়কের মধ্যে বাজার থাকার কারণে হাঁটা-চলা করা যায় না। শহরের সবচেয়ে বড় বাজারে এসে যদি এমন হেঁসেল পোহাতে হয় তাহলে আর কি বলার থাকে।
এ বিষয়ে সদ্য অপসারণ হওয়া স্থানীয় কাউন্সিলের সাথে কথা বললে উনি বলেন, মীর জুমলা সড়কে দোকানপাট বসানোর কোনো অনুমতি নেই। এখানে বসার জন্য কাউকে ইজারা দেওয়া হয়নি। এ সড়কে যারা বসেন সবাই অবৈধভাবে বসে থাকেন। সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময় তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। সেইসঙ্গে বাজারে ময়লা জমে থাকার কথা না। নিয়মিত ময়লা-আবর্জনা অপসারণ করা হয়ে থাকে।