এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে নতুন কলা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবনের নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়) কাজ নেওয়ার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।
আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। গত ৫ জুন এ মামলায় ঠিকাদার জি কে শামীমকে জামিন দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এসএম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাকে জামিন দেন। সেদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী। দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আলী হায়দার।
২০২০ সালের ২২ নভেম্বর জি কে শামীমসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছে দুদক সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম জেলা-১ এর সহকারী পরিচালক ফখরুল ইসলাম।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে দি বিল্ডার্স ইঞ্জিনিয়ার্স-জিকেবিএলকে ৭৫ কোটি এক লাখ ২৯৫ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে করা ও মানববিদ্যা অনুষদ ভবন নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু দরপত্রের নথি জালিয়াতি করা হয়েছে।
এ মামলায় ২০২১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
ক্যাসিনোবিরোধী অভিযোগের মধ্যে ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় ওই ভবন থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা, এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
অভিযানের সময় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলায় তার সাজা হয়েছে।
২০২৩ সালের ১৭ জুলাই মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় জিকে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আদালত। বাকি সাত আসামিকে (জিকে শামীমের দেহরক্ষী) ৪ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া তাদের সম্মিলিতভাবে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮১৪ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। রায়ে আদালত তার জব্দ করা সমস্ত ব্যাংক হিসাব ও অস্থাবর সম্পত্তি অবমুক্ত করার আদেশ দেন।
এছাড়া ২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার ৭ দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।