এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
আল্টিমেটামের ২১দিন পর শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলেন, জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আনিসুল ইসলাম সানি। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যলয়ে ঘেরাও করে শেখ মুজিবর রহমানের মূর্তি ভেঙ্গে ফেলেন তিনি। এ সময় জেলা প্রশাসক প্রঙ্গনে শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতি কালো কালি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
এর আগে, ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জাসাসে’র গণসমাবেশে বক্তব্যে জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আনিসুল ইসলাম সানি বলেন, আমরা জানি আপনি ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিলেন। যেখানে সারা বাংলাদেশ থেকে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি অপসারণ করা হলো, সেখানে আপনি খুব সুন্দর ভাবে মূর্তি রেখে দিয়েছেন, এমনকি কাপড় দিয়েও ঢেকে রেখেছেন। আমাদের দাবি যে মূর্তি আপনি গোপন এবং যতœ সহকারে ঢেকে রেখেছেন সেই মূর্তিটি অপসারণ করতে হবে সাত দিনের মধ্যে। যদি এই এক সপ্তাহের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমানের মূর্তি অপসারণ না করা হয় তাহলে আমরা কার্যালয় ঘেরাও করে মূর্তি ভেঙে ফেলবো। শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার কোন মুহূর্তে আমরা নারায়ণগঞ্জ জেলায় থাকতে দেবো না। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে মূর্তি অপসারণ করা না হয় তাহলে সে মূর্তি ভেঙে দেবো এবং এর দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবে। প্রশাসনের মধ্যে এখনো কিছু স্বৈরাচারী সরকারের দোসরা রয়ে গেছে। ছাত্র আন্দোলনে আপনাদের ভূমিকা কি ছিল সেটা নারায়ণগঞ্জবাসী জানে। এখনো সময় আছে সাবধান হন, না হলে পরিণতি ভালো হবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক আনিসুল ইসলাম সানি লাইভ নারায়ণগঞ্জকে বলেন, সারাদেশেই শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য অপসারণ করা হয়েছে। নারায়ণগঞ্জে করা হইছে বিভিন্ন জায়গায়। কিন্তু জেলা প্রশাসক কার্যলয়ে কৌশলে তারা শেখ মুজিবর রহমানের ভাস্কর্য ঢেকে রেখেছিলো। আমরা গত ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবসে আমি মুর্তি অপসারণ করার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। তবুও তারা অপসারণ করে নাই। তারাই ধারাবাহিকতায় আজকে সকালে আমাদের ছেলেরা গিয়ে সেখানে মূর্তি ভেঙ্গে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও আমরা জেলা প্রশাসকের সাথে প্রায় ১ ঘন্টা ১০ মিনিটের কথা বলেছিলাম। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছিলো পর্যায়ক্রমে দেখবে। কিন্তু প্রায় ১৫ দিন অতিবাহিত হয়ে গেছে, তারা সেটা করেনি। এই আল্টিমেটাম অনুযায়ী আমাদের ছেলে পেলের চাপ ছিলো। আমরা আজকে মূর্তি ভাঙ্গার পাশাপশি একটা শেখ মুজিবের প্রতিকৃতি ছিলো সেটাকেও কালো কালি দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। আমরা ওইটা ভাঙ্গি নাই কারণ সেখানে মুক্তিযুদ্ধে আরও অনেক গুলা শহীদের নাম ছিলো সেখানে। তাই আমরা সেটা না ভেঙ্গে শেখ মুজিবের ছবি কালো কালি দিয়ে ঢেকে দিয়েছি। শুধু জেলা প্রশাসক কার্যলয় না, আরও কয়েকটা জায়গায় এখনো মূর্তি আছে সেগুলোও আমরা ভেঙ্গে দিবো। রাসেল পার্কেও আছে সেগুলোও পর্যায়ক্রমে ভেঙ্গে দেয়া হবে।