এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
এএসপি পরিচয় দিয়ে অভিনব কৌশলে প্রতারণা করে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক পেশাদার প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গ্রেপ্তার প্রতারকের নাম ফখরুল ইসলাম বিজয় (৩০)।
গতকাল রোববার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক ফখরুল ইসলাম বিজয়কে গ্রেপ্তার করে সিটিটিসির অ্যান্টি ইল-লিগ্যাল আর্মস অ্যান্ড ক্যানাইন দল।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট বরাতে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে জনৈক আল-আমিন ঢালীর ম্যাসেঞ্জারে একটি ফেইক ফেসবুক আইডি থেকে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও প্রেরণ করলে আল-আমিন ডিএমপির গুলশান থানার একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করা হয়।
পরবর্তীতে ২৪ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় ফখরুল আল-আমিনকে ফোন করে হোয়াটস অ্যাপে জিডির কপি পাঠিয়ে নিজেকে পুলিশের অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) এএসপি পরিচয় দেয় এবং এটিইউর সাইবার ক্রাইম বিভাগে কাজ করে বলে জানায়।
একই দিনের সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ফখরুল ফোন করে জিডির সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে আল-আমিনের কাছে দাবী করে অর্থ । আল-আমিন প্রথমে সরল বিশ্বাসে তাকে দুই হাজার ১৯০ টাকা দেয়। ফের ফখরুলের কথা মতো ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিকাশ ও নগদের মাধ্যমে মোট পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দেয়।
আবারো সেই জিডির সমস্যা সমাধান করতে ফখরুল আরো ১০ লাখ টাকা দাবি করলে আল-আমিন বুঝতে পারেন ফখরুল একজন প্রতারক।
এমন ঘটনায় আল-আমিন টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে প্রতারক ফখরুল তার ফেক ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে। আল-আমিনের এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ ডিসেম্বর গুলশান থানায় একটি প্রতারণার মামলা হয়।
জানা যায়, মামলা দায়েরের পর সিটিটিসি এই অভিনব প্রতারণার ব্যাপারে ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় প্রতারকের অবস্থান শনাক্ত করে রোববার নারায়ণগঞ্জের পূর্ব লামাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক ফখরুল ইসলাম বিজয়কে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
গ্রেফতারের সাথে সাথেই ফখরুল স্বীকার করে জানায়, প্রতারক ফখরুল কৌশলে প্রতারণার মাধ্যমে থানায় অথবা অনলাইনে দায়ের করা মিসিং জিডির কপি সংগ্রহ করে নিজেকে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) সাইবার ক্রাইমের এএসপি পরিচয় দিয়ে সেই জিডির সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দিয়ে ভিকটিমদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো।