এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
১৫ জানুয়ারীর আগেই ঘোষনা আসছে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির নয়া কমিটি।এমনই গুঞ্জন জেলা জুড়ে।সদস্য সচিব/সাধারন সম্পাদক নাম প্রায় চূড়ান্ত
বলে জানা গেছে।আহবায়ক/ সভাপতি পদ নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। একই থানা থেকে দু’জনকে গুরুত্বপূর্ণ পদ নাকি পৃথক পৃথক থানা থেকে দুজনকে গুরুত্বপূর্ণ পদ; এ নিয়ে চলছে হিসেব নিকেষ।আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষনা অনুযায়ী হয় “পদ নতুবা এমপি নমিনেশন ” এমন ঘোষনায় অনেক নেতা সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন।কেন্দ্রিয় একটি সূত্র মতে,সদস্য সচিব/ সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মাসুকুল ইসলাম রাজিব আলোচনায় এগিয়ে রয়েছে। আহবায়ক/ সভাপতি পদ নিয়েই জটিলতা তৈরী হয়েছে।অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে দায়িত্ব দেয়া হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়ই থাকছে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি পদ।বাদ পড়ছে অন্য ৪ টি থানার পদ প্রত্যাশী নেতারা।আগের জেলা কমিটি গঠনে একই থানায় দু’টি গুরুত্বপূর্ণ পদ না দেয়ার যৌক্তিকতার কারনে রাজিবকে সরে যেতে হয়েছিল।যার কারনে সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিনকে এবং রূপগঞ্জ থেকে গোলাম ফারুক খোকনকে বেছে নেয়া হয়।এবারওকি এমন কিছু ঘটবে নাকি এবার একই থানায় চলে যাবে জেলা বিএনপির দু’টি গুরুত্বপূর্ণ পদ।নাকি প্রবীণ নবীনের সমন্বয়ে ঘোষনা হবে জেলা বিএনপি! জেলার বিএনপি শিবিরে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক পর্যালোচনা।
তা ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে এমপি পদে দলীয় নমিনেশনের দৌড়ে রূপগঞ্জে কাজী মনিরুজ্জামান ও মোস্তাফিজুল ইসলাম দিপু, আড়াইহাজারে নজরুল ইসলাম আজাদও মাহমুদুর রহমান সুমন এবং সাবেক এমপি আতাউর রহমান আঙ্গুর, সোনারগাঁয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিম ও আজহারুল ইসলাম মান্নান এবং সিদ্ধিরগঞ্জ – ফতুল্লায় সাবেক এমপি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও অধ্যাপক মামুন মাহমুদ দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। ফতুল্লার সহিদুল ইসলাম টিটু ও রিয়াদ চৌধুরীও জেলা বিএনপির দায়িত্ব নিতে উদগ্রীব। এখন কেউ এমপি দৌড়ে অংশ নিলে কমিটির পদ আসতে পারবে না।এর মধ্যে চাউর হচ্ছে বিএনপির বিরোধ রোধে শরীক দলকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে ৪ ও ৫ আসন। এদিকে ৫ আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মডেল গ্রুপের মাসুদুজ্জামান এবং প্রাইম গ্রুপের আবু জাফর আহমেদ বাবুল নাম দুই শিল্পপতির নাম শোনা যাচ্ছে।
তাহলে কারা হচ্ছেন জেলা বিএনপির নয়া কান্ডারী! হয়তো ১৫ জানুয়ারী আগেই খোলাসা হবে সব।
উল্লেখ্য, ফতুল্লা, রূপগঞ্জ, সোনারগাঁ, আড়াইহাজার, সিদ্ধিরগঞ্জ এই ৫ টি থানা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি গঠন করা হয়।জেলার ৫ টি নির্বাচনি আসনের মধ্যে ৪ টি আসন জেলা বিএনপি কমিটির অধীন।বন্দর ও নারায়ণগঞ্জ সদর থানাধীন নারায়ণগঞ্জ -৫ আসন এলাকা নিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি গঠিত হয়।অতীতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সদর,বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন এলাকা নিয়ে গঠন করা হতো।অসন বিন্যাসের কারনে বিএনপি সরকারের আমলে এমপিদের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানাকে মহানগর কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়।