বৌভাতে রওনা দিছিলো আত্মীয় স্বজন নিয়ে। ভালো পোশাকাদিও পরিধান করছিলেন তারা। বাহন হিসেবে একটি মাইক্রো ও তিনটি অটো (ইজিবাইক) ছিলো। শেখেরহাট এলাকা থেকে গাবখান ধানসিড়ি ইউনিয়নের ওস্তাখান গ্রামে ছিলো তাদের গন্তব্য। মাইক্রো বাসটির গতি বেশি থাকায় সে পথ এগিয়ে যায়। অটোগুলো পথিমধ্যে গাবখান টোল প্লাজায় পৌঁছলেই ঘাতক ট্রাক আঘাত করে। ক্ষতবিক্ষত হয় অনেকেই। তবে মেহমান হিসেবে রওনা দেয়া ২৫ জনের মধ্যে একজন নিহত হয়।
নিহত আতিকুর রহমান সাদি (১১) শেখেরহাট নওপাড়ার আব্দুল হাকিমের ছেলে।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট হাট ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ কামাল হোসেন বলেন, ব্যাটারিচালিত তিনটি ইজিবাইক ও একটি মাইক্রোযোগে প্রায় ২৫ জন নিয়ে গাবখান ইউনিয়নের ওস্তাখান গ্রামে বৌভাতের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। আমার শ্যালিকার বৌভাতের আয়োজন ছিল। পথে গাবখান টোলে গাড়িগুলো টোল দিচ্ছিল। এরই মধ্যে সিমেন্ট বোঝাই একটি ট্রাক পেছন থেকে আমাদের গাড়িগুলো, পথচারী ও টোল কর্মীদের চাপা দেয়। এতে আমাদের সাদি মারা যায়।
শেখেরহাট ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আতফি আহম্মেদ বলেন, আমার ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ কামাল হোসেনের শ্যালিকার বৌভাতে যাচ্ছিল। এতে সাদি নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম গণমাধ্যমকে বলেন, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠির গাবখান টোল প্লাজায় সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি মাইক্রোবাস ও ৩টি অটোরিকশা নিয়ে খাদে পড়ে। এতে নারী, শিশুসহ ১৪ জন নিহত হয়েছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) দুপুর দুইটায় পৌর এলাকার পশ্চিম প্রান্তে পঞ্চম চীন-বাংলাদেশ মৈত্রি গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।