এনগঞ্জনিউজঃ
নগরীর সিদ্ধিরগঞ্জের,মিজমিজি এলাকার বাতেন পাড়ায় গড়ে উঠেছে দেলোয়ার ওরফে দেলুর রমরমা মাদক বাণিজ্য। বাতেন পাড়া এলাকার ক্যাশিয়ার বাড়ির মৃত আব্দুল সাত্তার এর ছোট ছেলে দেলু। বিগত সময় আওয়ামী সরকারের স্থানীয় বিভিন্ন নেতাদের সাথে আঁতাত করে দেলু পরিচালনা করতো তার কার্যক্রম। বর্তমানে দেলু বাতেন পাড়া এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে দেহ ব্যাবসার আড়ালে দেদারছে করে যাচ্ছে মাদক বাণিজ্য।
দির্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী শাসন আমলে দেলু সিদ্ধিরগঞ্জের বেশ কিছু নেতাদের সাথে আঁতাত করে তার মাদক ব্যাবসা পরিচালনা করে বনে গেছে কোটিপতি। এক সময় যার নুন আনতে পান্তা ফুরাতো সেই দেল এখন অঢেল সম্পতির মালিক। তবে, গত ৫ আগষ্টের পড় থেকে দেলু তার মাদক ব্যবসা পরিচালনায় নতুন পথ অবলম্বন করেছেন। বর্তমানে দেলু দেহ ব্যাবসার আড়ালে চালাচ্ছে তার মাদকের বিশাল বাণিজ্য।
দেলুর এই দেহ ব্যাবসায় তার প্রধান সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন জেসমিন নামের একজন নারী এবং জেসমিনের সকল কার্যক্রম দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছেন বাবু নামে এক ব্যক্তি। এই দুজনের মাধ্যমে দেলু বর্তমানে তারে সকল অপর্করম দূর থেকে বসে পরিচলানা করছে তার এলাকায়।
দেলুর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ থাকার পরেও এখন পর্যন্ত অরধরা রয়েগেছেন তিনি। গত কয়েক মাস পুর্বে দেলোয়ার ওরফে দেলুর বর্তমান ভারাটিয়া বাসায় তার প্রধান সহযোগী জেসমিন এক নাবালিকা মেয়েকে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে বাসায় জোর করে আটকে রেখে পতিতা বৃত্তির জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখায়।পরে মেয়ের মা নিরুপায় হয়ে সিদ্দিরগঞ্জ থানার দারস্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পুলিশ নিয়ে গিয়ে তার নাবালিকা মেয়েকে উদ্ধার করে। এই ঘটনায় ঐ মেয়ে নাবালিকা হওয়ায় মেয়ের মান সম্মান নষ্ট হওয়ার কথা ভেবে মামলা করতে অনিহা প্রকাশ করে মেয়ের পরিবার। তাই সেদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ দেলুকে না পেয়ে তার প্রধান সহযোগী জেসমিনকে মুচলেকা দিয়ে সেসময় ছেড়ে দেয়।
দেলু ও তার সহযোগীদের এমন অপকর্মে অতিষ্ঠ পুরো এলাকাবাসসী। স্থানীয় এলাকাবাসীর দাবি অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দুর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।