এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী মহাসম্মেলন শুরু হয়েছে। এতে যোগ দিতে রাত থেকে জমায়েত হয়েছেন আলেম-ওলামারা। দাওয়াত ও তাবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফাজতের লক্ষ্যে এ সম্মেলন করা হচ্ছে।
আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও এর আশপাশে ঘুরে দেখা গেছে, কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানেও আলেম ওলামাদের অবস্থান নিতে দেখা যায়। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তারা সমাবেশে এসেছেন।
এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের বিভিন্ন সড়কে গাড়ি রাখায় রাজধানীতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, মগবাজার এরিয়া ঘুরে দেখা যায়, সিগন্যালে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থাকছে গাড়ি। অনেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
গত রোববার এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ওলামা-মাশায়েখদের উদ্যোগে মঙ্গলবার ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সর্বস্তরের ওলামা-মাশায়েখ ও জনতাকে যোগ দেয়ার আহবান জানানো হয়।
দাওয়াত ও তাবলীগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বীনের হেফজতের লক্ষে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসম্মেলন করছেন ওলামা-মাশায়েখরা।
সকাল ৯টায় মহাসম্মেলন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ফজরের পরপরই রাজধানী অভিমুখে ছুটে আসেন ধর্মপ্রাণ মুসলমান। সূর্য আলো ছড়ানোর আগেই পূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী ময়দান। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও এসেছেন মানুষজন। মানুষের চাপে নির্ধারিত সময়ের আগেই ভোর ৬টার পর থেকেই আলোচনা শুরু হয়।
এর আগে দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামা মাশায়েখদের আহবানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইসলামী মহাসম্মেলন সফল করার আহ্বান জানিয়েছিলেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক দেশের বিশিষ্ট আলেম জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার শাইখুল হাদিস আল্লামা উবায়দুল্লাহ ফারুক।
এছাড়াও গতকাল শীর্ষস্থানীয় উলামা মাশায়েখের আহ্বানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী মহাসম্মেলনের অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। সোমবার ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পিপিএম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ অনুমতির কথা জানানো হয়েছে। তবে এতে জুড়ে দেয়া হয়েছে ২৩টি শর্ত।