এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
সামান্য টাকা বেতন ভাতা পেলেও তার চালচলন ধনীদের মতো, বিদেশ ভ্রমনও করেন বছরে একাধিকবার কি চাকুরি করেন যে এমন আলাদিনের চেরাগের মতো ঘসা দিলেই সম্পদ চলে আসে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অফিস সহায়ক পদে কর্মরত থাকলেও সার্ভেয়ার সহকারী(ভারপ্রাপ্ত) হিসেবে অনিয়ম দূর্ণীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমান সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ রয়েছে সানোয়ার হোসেন তারেকের বিরুদ্ধে।
বিগত দিনে অনিয়ম দূর্ণীতির মাধ্যমে নাসিকের মালিকানাধীন বিভিনাœ মার্কেটে অসংখ্য দোকানের মালিক বনে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে সে তিনবার বিদেশ ভ্রমন করতো। তার অর্থেরও উৎস খতিয়ে দেখা হলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করছে সচেতন মহল।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অফিস সহায়ক হিসাবে কর্মরত ছিল সানোয়ার হোসেন তবে সার্ভেয়ার সহকারী (ভারপ্রাপ্ত) হওয়ার পরে ফুলে ফেপে উঠতে শুরু করেছে সানোয়ার হেসেনের সম্পদ। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের নির্মিত মার্কেটগুলোতে সানোয়ার হেসেন নামে বেনামে ক্রয় করেছে অসংখ্য দোকান। বেনামে একাধিক ফ্লাটও ক্রয় করেছে বলে গুঞ্জন রয়েছে। জানা গেছে, সার্ভোয়ার সহকারী হওয়ায় নাসিকের সঙ্গে বিভিন্ন এলাকায় জমি জমা নিয়ে নিজের প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নিতো সানোয়ার। প্রতি বছরই তিন থেকে চারবার বিদেশ ভ্রমন করতো সানোয়ার। ভারতের আজমীর শরীফে খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী (রহ:) এর মাজার শলীফ জিয়ারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ২০২২ সালের ১৩ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই পর্যন্ত ১৪ দিনের ছুটি কাটায় সানোয়ার। এরপর আবারো ভারত ভ্রমনের কথা বলে ২০২৩ সালের ২২ জানুয়ারী থেকে ৭ ফেব্রæয়ারি পর্যন্ত ১৭ দিনের ছুটি কাটায় সানোয়ার। ভারত ভ্রমনের কথা বলে ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০ দিনের ছুটি কাটায় সানোয়ার।
এদিকে ন্রায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর সহকারী আবুল হোসেন যেমন একজন পরিচ্ছন্ন কর্মচারি পদে কর্মরত থেকেও তার চলাফেরা ছিল কোটিপতির মতো। বেতন ৩৬ হাজার হলেও পিএ হওয়ার সুবাদে আবুল শহরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্লাট, ফার্নিচারের দোকান,বন্দর উপজেলায় তার ও স্ত্রীর নামে তিনটি জমির মালিক বনেছিলো।
আবুল হেসেন দক্ষিণ কোরিয়া,অস্ট্রেলিয়া,জাপান,সিঙ্গাপুর,নিউজিল্যান্ড,ভারত ও থাইল্যান্ড ভ্রমন করে বেড়াতো। তেমনি সানোয়ার হোসেন তারেকও অনিয়ম দূর্ণীতির মাধ্যমে অঢেল সম্পত্তির মালিক বনেছে বলে অভিযোগ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাসিকের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের। তাই সানোয়ার হোসেন তারেকসহ নাসিকের অসাধূ কর্মকর্তা-কর্মচারিদের বিরুদ্ধে দুর্ণীতি দমন কমিশনের জোড়ালো তদন্ত দাবী করেছে সচেতন মহল।