এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
ভগ্নিপতি আব্দুল কাদিরের পর যে কোন সময় গ্রেফতার হতে পারেন নাসিকের সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভী।রোববার থেকেই গ্রেফতার আতংকে ভুগছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামীলীগ নেত্রী ডা.সেলিনা হায়াত আইভী।ভগ্নিপতি আব্দুল কাদির গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই সাবেক এই মেয়রের মাঝে গ্রেফতার হওয়ার ভীতি বিরাজ করছে বলে শহর জুড়ে চাউর হচ্ছে।একটি সূত্র জানায়,আব্দুল কাদিরের গ্রেফতারের খবর পাওয়ার পর আতœগোপনে চলে যান আইভী।,আইভীকে ইতিমধ্যে ৫/৬ টি হত্যা মামলা এজাহার ভুক্ত আসামী করা হয়েছে।কিন্তুু আব্দুল কাদির মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী না হয়েও অজ্ঞাত নামীয় আসামী হিসেবে আটক হয়।কিন্তুু ডা.সেলিনা হায়াত আইভী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহতের ঘটনায় একাধিক মামলার এজাহার ভুক্ত আসামী।ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে আটক না করায় বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র জনতার মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।গতকাল শহরের বিভিন্ন চায়ের আড্ডার কেন্দ্রবিন্দু ছিল সাবেক মেয়র আইভী।এবার আইভীর পালা এমনই আলাপচারিতা করতে দেখা গেছে অনেকেই। “এবার আইভীর পালা” শহর জুড়ে চাউর হচ্ছে এমনই কথন।
গ্রেফতার আবদুল কাদির নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর ছোট বোনের স্বামী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবদলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে।
প্রসংগতঃ শহরের চাষাঢ়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহত বদিউজ্জামান হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আব্দুল কাদিরকে গত রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে শহরের নিতাইগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ৫ আগস্ট চাষাড়ায় গার্মেন্টস কর্মী বদিউজ্জামান নিহত হওয়ার ঘটনায়
নিহতের স্ত্রী মোসাম্মৎ আদুরী খাতুন বাদী হয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় ৩৬ জনের নাম উল্লেখ সহ দেড়শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। সেই মামলায় যুবলীগ নেতা আব্দুল গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।