এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
মেঘনা গ্রুপের টিস্যু কারখানার গোডাউনে লাগা আগুন ১৪ ঘণ্টায়ও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানায়, ভবনটি এক দিকে হেলে পড়েছে এবং উপরের তিনটি তলার মেঝে ধসে পড়েছে।
স্টিল-স্ট্রাকচারের এ কারখানা ভবনটি একবারেই ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের (নারায়ণগঞ্জ-২) উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল মন্নান।
আব্দুল মন্নান গণমাধ্যমকে জানান, একদিকে হেলে পড়েছে স্টিল-স্ট্রাকচারের এ কারখানা ভবনটি । তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম তলার মেঝেও ধসে পড়েছে আগুণের কারণে। বাইরে থেকে টিটিএল (টার্ন টেবিল লেডার) দিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চলছে এখনো। টিস্যু, কাগজ, টিস্যু তৈরির দাহ্য কাঁচামাল থাকায় আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে অত্যান্ত দূস্কর। একদিকে আগুন নেভানো হলেও অন্য দিক দিয়ে জ্বলে ওঠে এভাবেই চলছে আগুণ নিয়ন্ত্রণের কাজ ।
আজ সোমবার (১৮ নভেম্বর) ভোর ৫টার দিকে সোনারগাঁয়ের মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ড্রাস্ট্রিজের টিস্যু কারখানার মেঘনা পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেডের পাঁচতলা ভবনে শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। যা মুহূর্তেই ছড়িয়ে পরে। নারায়ণগঞ্জের ছয়টি ফায়ার স্টেশনের ১৬টি ইউনিট ছাড়াও ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ ও মেঘনা গ্রুপের নিজস্ব ফায়ার টিমের যৌথ চেষ্টায় সকাল ৯টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও একনো ভিতরে স্ফুলিঙ্গ রয়েছে। ভয়াবহ এমন আগুনের ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।” এমনটি বলেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল এম অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতির পরিমান এক হাজার কোটি টাকা বলে দাবী করে বলেছেন মেশিনারী সর পুড়ে গেছে মেশিনের মূল্যই ৫শ কোটি টাকা। আর কাঁচামাল দুই/আড়াই শো কোটি টাকার মতো।