এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
আদালতের নির্দেশে শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি করে আরো একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায়।
আজ ২২ নবেম্বর (শুক্রবার) দুপুরে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি আল মামুন।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহত মো: মুরসালিন আলম (২২) এর পিতা মো: শাহ আলম বাদী হয়ে আদালতে মামলা করার জন্য আবেদন করলে নারাণয়গঞ্জের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত ৮ এর বিজ্ঞ বিচারকের নির্দেশে মামলাটি দায়ের করা হয়।
গুলিতে মারাত্মক আহত মুরসালিন আলম রুপগঞ্জের তারাব পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের যাত্রামুড়ার দিঘী বরার এলাকার শাহ আলমের পুত্র।
আদালতে দায়েরকৃত অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুলিতে আহত মুরসালিন আলমকে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় প্রধান আসামী করা হয় শেখ হাসিনা কে। এই মামলায় অন্যান্য আসামি হিসেবে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল (৬০), আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (৬০), জাহাঙ্গীর কবির নানক (৬০), মাহবুবুর রহমান হানিফ (৬০), শামীম ওসমান (৫৫), নজরুল ইসলাম বাবু (৫২), সেলিম ওসমান (৬০), শাহ নিজাম (৫২), আজমেরী ওসমান ((৫০), অয়ন ওসমান (৪০), সাবেক গোয়েন্দা প্রধান হারুন (৫০) সহ ৬১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাত আরও দেড় শতাধিক থেকে ২ শতাধিক ব্যাক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
তথ্য সূত্রে আরও জানা যায়, ১৮ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার সাথে সড়কে অবস্থান করছিল মুরসালিন আলম।
ওই সময় মামলায় উল্লেখিত আসামীদের গুলি মুরসালিনের কোমড়ে এবং দুই পায়ে বিদ্ধ হয়ে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুলি মাংসপেশির এক পাশে লেগে অন্য পাশ দিয়ে বের হয়ে যায় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। ওই ঘটনায় আরও দশ থেকে পনেরো জন গুলিবিদ্ধ হলে আহত মুরসালিনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে পরে সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করানো হচ্ছে। গুলিবিদ্ধ মুরসালিন এখনো সিএমএইচে চিকিৎসাধিন আছে বলে মামলায় জানান মামলার বাদী শাহ আলম।