এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
ব্যাপক অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২৪ ডিসেম্বর বিলুপ্ত করা হয় জেলা বিএনপির কমিটি। কেন্দ্র কর্তৃক প্রেরিত বিলুপ্তির চিঠিতেই বলা হয় শীঘ্রই গঠন করা হবে নতুন কমিটি। এরপর থেকেই জেলাজুড়ে গুঞ্জন চলছে কে হচ্ছেন সভাপতি আর কে হচ্ছেন সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, সভাপতি পদে আলোচনায় আছেন তারা হলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক লুৎফর রহমান খোকা, বিএনপির নির্বার্হী সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, মোস্তাফিজুর রহমান ভুইয়া দিপু, সোনারগার উপজেলা বিএনপির আহŸায়ক আজহারুল ইসলাম মান্নান।
এছাড়া সাধারণ সম্পাাদক পদে আলোচনায় আছেন জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাবেক আহŸায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী। সভাপতি পদ প্রত্যাশী একাধিক নেতার নাম শোনা গেলেও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহŸায়ক লুৎফর রহমান খোকা অন্যদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন বলে দাবি তার কর্মী-সমর্থকদের।
কর্মী-সমর্থকরা জানান, জিয়াউর রহমানের আদর্শকে বুকে ধারণ করে ১৯৭৭ সালে জগন্নাথ কলেজ ছাত্র সংসদে জেনারেল জিয়া পরিষদ নামের সংগঠনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে তথা বিএনপির রাজনীতিতে হাতে খড়ি হয় লুৎফর রহমান খোকার। ভিপি ছাগীর এর নেতৃত্বে তৎকালীণ আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন তিনি। বিএনপি গঠন হওয়ার পর থেকেই সরাসরি বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন বিএনপির এই নেতা। ২০০৩ সালে তথা বিএনপির শাসনামলে গ্রাম সরকার ক্যাটাগরিতে গ্রাম সরকার নির্বাচিত হয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত ছিলেন।
পরবর্তীতৈ ২০০৯ সালে ২ লক্ষ এর অধিক ভোটারের ভোটে কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। বিগত আওয়ামী শাসনামলে জেল-জুলুম, হামলা-মামলা, অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে যারা রাজপথে ছিলেন তাদের মধ্যে লুৎফর রহমান খোকা অন্যতম। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হিসেবে দীর্ঘ ১৪ বছর দায়িত্ব পালন করেন। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হওয়ার কারণে এমন কোনো নির্যাতন নেই, যা তিনি সহ্য করেননি। তবুও দলের আন্দোলন সংগ্রামে থেকে কখনো পিছপা হননি এই নেতা। এরই প্রতিদান হিসেবে প্রথমে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এবং পরে ২০২২ সালে কেন্দ্র ঘোষিত জেলা বিএনপির কমিটিতে যুগ্ম অহŸায়কের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। নেতাকর্মীদের কাছেও প্রিয় খোকা ভাই হিসেবেই পরিচিত তিনি, দাবি অনুসারীদের। আর তাই আগামী জেলা বিএনপির সম্মেলন কিংবা কেন্দ্র কর্তৃক ঘোষিত কমিটিতে লুৎফর রহমান খোকাকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় তার কর্মী-সমর্থকরা।