এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
জীবনে চলাচলের পথে প্রতিটি ক্ষেত্রে কখনোই নিজের সীমা অতিক্রম করবেন না। ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধানের জন্য আল্লাহ পাক একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথ আমাদের দিয়েছেন যে কক্ষপথে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার আহলে বায়াতগণ এবং আল্লাহর অলিগন চলেছেন সেটাই হচ্ছে সিরাতল মুস্তাকিমের পথ সেই পথই মুক্তির পথ।
আমরা এটা সবাই জানি কিন্তু মানি কয়জনে?? বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে বক্তাদের সাথে সবাই শুধু ঠিক ঠিকই করি কিন্তু বাস্তব জীবনে কাজকর্ম করি তার উল্টোটা। আমাদের বলা হয় সুদ খাওয়া হারাম বক্তার সাথে ঠিক ঠিক করলেও বাস্তবে সুদ মুক্ত জীবন গরতে পারিনা, বলা হয় যার যার হক তাকে বুঝিয়ে দিতে কিন্তু আমরা নিজের ভাই বোনের হকই মেরে খাই, বলা হয় সৎ পথে উপার্যন করতে, অন্যায় অত্যাচার, জিনা ব্যাভিচার থেকে বিরত থাকতে কিন্তু আমরা তা ধারণ করতে পারিনা।
পবিত্র শবেবরাত সারা বিশ্বে শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রজনীতে পবিত্র শবে বরাতের রাতটি আমল ইবাদতের মাধ্যমে পালন করে থাকে কিন্তু আফসোস আমাদের দেশে অনেক আলেম-ওলামাগণ এই পবিত্র রাতেরও বিরোধিতা করে। অথচ কাল ১৪ই ফেব্রুয়ারি বেহায়াপনার মধ্য দিয়ে দিনটি পালিত হবে এই কালচার আমাদের সমাজে প্রবেশ করেছে একমাত্র ইসলামী কালচারগুলো থেকে আমরা দূরে সরে গিয়েছি তাই। আমরা ছোটবেলার মা খালাদের দেখতাম শবেবরাতে দিনের বেলা রুটি হালুয়া তৈরি করে আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠাতো আর রাতে আমল ইবাদতের মধ্যে সারাটি রাত পার করে দিতেন। এই কালচারই তো এখন আমাদের থেকে দূরে চলে গেছে প্রকৃতি কখনো খালি থাকে না এই কালচার চলে যাওয়ার কারণে যত বেহায়াপনার কালচার রয়েছে তা আমাদের সমাজের শূন্যস্থান কে পূরণ করে ফেলেছে। এখনো সময় আছে আসুন ইসলামী কালচারগুলো আমরা আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেই।
ভাইয়েরা বাবা, আল্লাহ পাক এই পবিত্র রজনীতে তাঁর বান্দাদের সমস্ত গুনাহ খাতা গুলো ক্ষমা করে দিতে পারেন শুধুমাত্র দুই শ্রেণীর গুনাগারকে বাদে আর তা হচ্ছে আল্লাহর সাথে শিরককারী এবং যার মনে হিংসা রয়েছে। সুতরাং এই দুটি কাজ আমাদের অবশ্যই অবশ্যই পরিহার করে পবিত্র এই রজনীতে আমল ইবাদতের মাধ্যমে ক্রন্দনরত অবস্থায় আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাইতে হবে।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে পবিত্র শবে বরাতের যত নাজ নেয়ামত রয়েছে আমাদের দান করুন, আমীন ।
প্রতি সপ্তাহের ন্যায় গতকাল বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব দারুল ইস্ক হোসাইনিয়া খানকা শরীফে বয়ান পেশ করার সময়আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোহাগ এসব কথা বলেন।