এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টেও আরও একবার দলের ত্রাতা হয়েছেন তিনি। নিজের কাজ তিনি করে যান অনেকটা নিরবে, নিভৃতে। তাইজুল ইসলাম প্রাদপ্রদীপের আলোয় আসতে পারেননি কখনোই। সবসময় থেকেছেন ছায়ার নিচের তারকা হিসেবে।
প্রথম ইনিংসে এখন অবধি হারানো প্রোটিয়াদের ছয় উইকেটের পাঁচটিই নিয়েছেন তিনি। এটি তার ক্যারিয়ারের ১৩তম ফাইফার। এদিনই স্রেফ দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে দুইশ উইকেটের মাইলফলক ছুয়েছেন তিনি। এ নিয়ে অবশ্য বাড়তি কোনো গর্ব নেই তাইজুলের।
দিনশেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আসলে অনুভূতি তো অবশ্যই ভালো লাগার বিষয়। বিশ্বে হয়তো অনেক বোলারই আছে, যাদের ২০০ উইকেট আছে বা ৩০০-৪০০ আছে। আমাদের বাংলাদেশের হয়তো বা এতদিন টেস্ট খেলি না যে অনেক জনের হবে। তারপরেও যে ২-১ জন আছে, তার মধ্যে আমি একজন। এটা আসলে গর্বের কোনো বিষয় না। এটা আলহামদুল্লিলাহ আল্লাহ দিয়েছে, হয়েছে আরকি। ’
মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম দিনেই ১৬ উইকেট পড়েছে। সময় গড়ালে এই উইকেট যে স্পিন ফাঁদ হয়ে উঠবে, আভাস পাওয়া গেছে তারও। এ নিয়ে অবশ্য খুব একটা চিন্তিত নন তাইজুল। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হওয়ার পর এখন তার লক্ষ্য ভালো খেলার।
তিনি বলেন, ‘আপনি যখন যেখানে খেলতে যাবেন না কেন তাদের হোম অ্যাডভান্টেজ সবাই নেবে। এটাই সত্য। তো আসলে তারপরেও ভালো খেলাটা জরুরি। তো উইকেট যেমনই হোক, আমরা সব সময় চাইবো যে ভালো খেলার জন্য এবং ভালো খেলতে হয়তো ম্যাচ আমাদের দিকে থাকবে। ’
‘একটা দল খারাপ খেললে ফেয়ার কোনোভাবেই হয় না, ভালো উইকেট দিন আর খারাপ উইকেট দিন। জিনিসটা ওরকম না। ভালো খেলা জরুরী। কন্ডিশন এদিক-ওদিক হতেই পারে। নিউজিল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলে অবশ্যই আপনাকে লো উইকেট দিবে না। একদম ফ্ল্যাট উইকেট দিবে না। মুভমেন্ট থাকবেই। আমার কাছে মনে হয়, উইকেটের দোষ দিয়ে কোনো লাভ নেই। খেলায় হারজিত আছে। ভালো না খারাপ খেলছি আমার কাছে এটাই মুখ্য।