এনগঞ্জনিউজএক্সপ্রেস২৪ :
আপনার ভাগ্যে যা আছে দুনিয়ার কারো শক্তি নেই তা ছিনিয়ে নেয়ার আবার আপনার ভাগ্যে যা নেই যতই ক্ষমতা দেখান আপনি তা পাবেন না!
আল্লাহ পাক আমাদের ভাগ্যে যেটা নির্ধারণ করে রেখেছেন সেটা যে কোন মূল্যে আমাদের হবেই তার জন্য আমাদের আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল থাকতে হবে। আমাদের যেটা প্রয়োজন দুনিয়ার কারো কাছে না চেয়ে যিনি দুনিয়ার মালিক সেই আল্লাহর কাছে চাইবো, আল্লাহপাক যদি আমাদের ভাগ্যে সেটা লিখে ফেলেন তাহলে সেটা যে কোন উপায়ে আমাদের কাছে চলে আসবে। বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্যই তো রয়েছে “যদি থাকে নসিবে, আপনা আপনি আসিবে” সুতরাং এক আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল থেকে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ আল্লাহপাক এর হুকুম আহকামগুলো রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত মোতাবেক হক ও বাতিলকে পার্থক্য করে চললে আমাদের প্রয়োজনগুলো আল্লাহ পাক পূরণ করে দিবেন। মনে রাখবেন কখনোই বাতিলের সাথে আপোষ করা যাবে না, আমাদের আ’কা যার নামে এই খানকা শরীফ নামকরণ করা হয়েছে সেই ইমাম হুসাইন (রাঃ) বাতিলের সাথে আপোষ না করে হক প্রতিষ্ঠার সবচেয়ে বড় উদাহরণ। পৃথিবীতে সবচেয়ে রয়েল ফ্যামিলি সেই ইমাম হুসাইন রাঃ এর যার নানাজান দোজাহানের বাদশা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ফ্যামিলি, যিনি চাইলে আল্লাহ পাক উহুদ পাহাড় স্বর্ণে পরিনত করে দিতেন কিন্তু সেই নবী নন্দিনী মা খাতুনে জান্নাতের ঘরে রান্না করার জন্য ঠিকমতো চুলা পর্যন্ত জ্বলতো না। সেই রয়্যাল ফ্যামিলি সব সময় উম্মতে মোহাম্মদীর এর জন্য নিজেদের জীবনকে সেক্রিফাইস করে গিয়েছেন। আমরা সেই উম্মতে মুহাম্মদী হয়ে অত্যন্ত ভাগ্যবান।
ভাইয়েরা বাবারা আসছে রজব মাস, সুলতানুল হিন্দ খাজা মইনুদ্দিন চিশতী আজমির সাঞ্জেরী (রঃ) এর ওরশ মোবারক। আরবি বারো মাসের মধ্যে তিনটি মাস আমল ইবাদতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ! আর সেই তিন মাস আমাদের অতি স্বন্নিকটে, রজব মাস, শাবান মাস ও রমজান মাস। সকলেই আমল ইবাদতের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন, ইনশাল্লাহুতায়ালা আমল ইবাদতের মাধ্যমে আমাদের জীবনকে পরিপূর্ণ করে নিবো।
আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল থেকে আমার ইবাদতে মশগুল থাকার তৌফিক দান করুন, আমীন ।
প্রতি সপ্তাহের ন্যায় বৃহস্পতিবার (১৯ডিসেম্বর) বাদ মাগরিব দারুল ইস্ক হোসাইনিয়া খানকা শরীফে বয়ান পেশ করার সময় আলহাজ্ব মোহাম্মদ সোহাগ এসব কথা বলেন।