এনগঞ্জনিউজঃ
কোনো গানের আসর কিংবা মাজারে হামলা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নিতে আবারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ”৫ অগাস্টের পর থেকে নানা সময়ে মাজারের পাশাপাশি কাওয়ালি গান বা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হামলা হয়েছে।
“হামলার ব্যাপারে অনেক সময় স্পষ্ট ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি; আমরা সেজন্য দুঃখিত। এখন থেকে কোনো গানের আসর অথবা মাজারে হামলা হলে আমরা ব্যবস্থা নেব; কাউকে ছাড় দেব না। এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর বিভিন্ন জায়গায় মাজারে হামলা-ভাঙচুরের একাধিক ঘটনা ঘটেছিল। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে তখনও সরকারের পক্ষ থেকে এসব বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। পরের কয়েক মাসে তা কমে আসে।
এরমধ্যে গত বুধবার ময়মনসিংহ শহরে শাহ সুফি সৈয়দ কালু শাহর মাজারে হামলা চালিয়ে মাহফিল, দোয়া ও সামা কাওয়ালি অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গভীর রাতে কয়েকশ মাদ্রাসা ছাত্র হামলা চালিয়ে ২০০ বছরের পুরনো মাজারটির একটি অংশ ভেঙে ফেলে।
ময়মনসিংহের ওই ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে মাহফুজ বলেন, “৫ অগাস্টের পর যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেই বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছি। যারা বিক্ষুব্ধ আছেন মামলা করুন, আমরা পদক্ষেপ নেব।”
সংবিধান নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অবস্থানের বিষয়ে মাহফুজ বলেন, “সংবিধানের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের নানা প্রস্তাব আছে। আবার অন্যান্য রাজনৈতিক দলের বিরোধিতা আছে। যেসব বিষয়ে ঐকমত্য আছে, তা আমরা লিপিবদ্ধ করব। সংবিধান সংস্কার না কি বাতিল হবে, সেই সিদ্ধান্ত আলোচনার ভিত্তিতেই নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “প্রশাসক দিয়ে জনগণের কাছে সেবা পৌঁছাতে পারব কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। স্থানীয় সরকারের অনেক সেবা জনগণ নিয়মিত পাচ্ছে না।
তাই প্রস্তাবনা আকারে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলে নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তির সুযোগ তৈরি হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে অগ্রসর হতে পারব।”
জাতীয় নির্বাচন কবে হতে পারে এমন প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, “সংস্কার কমিশনগুলোর প্রতিবেদন এ মাসেই পাব। সেগুলো নিয়ে রাজনৈতিক দল ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করব। সংস্কারের মেয়াদ বা পরিধির ভিত্তিতে নির্বাচনের সময় নির্ধারিত হবে। এটা আজকালের মধ্যে ঠিক হওয়াটা যৌক্তিক হবে বলে মনে করি না।”
সংবাদ সম্মেলনে এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছানোর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগামী মাসের মধ্যে সবাই হাতে পাবে। সরকার এটি নিয়ে কাজ করছে।
নোটবুকবিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটা একটি জটিল বিষয়। এখানে অনেক বেসরকারি কোম্পানি জড়িত। এটা কাঠামোগত বিষয়; হঠাৎ সমাধান হয় না।‘’